বান্দরবানে ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক পরিদর্শক (এসআই) সহ দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা র্যাবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ব্যবসায়ীর করা মামলাটি আমলে নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন তদন্তের এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বিপুল চন্দ্র রায় ও কনস্টেবল মোহাম্মদ হান্নান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান সদরের বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রফিক অন্যান্য কাজ শেষে গত ১৭ জুলাই রাতে ৯টার দিকে ইসলামী ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ৫০ হাজার টাকা পাওনাদারকে দেয়ার জন্য সাতকানিয়ার কেরানীর হাটে যান।
কিন্তু পাওনাদারকে না পেয়ে তিনি রাতে চন্দ্রনাইশের ধোপাছড়ি হয়ে মোটরসাইকেলে বান্দরবানে ফেরার পথে ক্যয়ামলং এলাকায় রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বিপুল চন্দ্র রায় ও কনস্টেবল মোহাম্মদ হান্নান তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে ব্যবসায়ী রফিক পুলিশের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তরা ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী রফিক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধ মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের জুডিশিয়াল বেঞ্চ সহকারী মো. রাকিব জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনাটি তদন্তের জন্য র্যাব-১৫ কে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রফিক বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা দুজন আমায় মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগ দেয়ার পর ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকাগুলো না দেয়ার জন্যও হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে আমি সুষ্ঠু বিচারের জন্য মামলাটি করেছি।
এদিকে সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুলিশ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে। পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে র্যাব ব্যবস্থা নেবেন এটিই প্রত্যাশা করি।