অর্থাভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ১৩ জন কারাবন্দী। এ ১৩ কারাবন্দীর পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারাগার পরিদর্শনের সময় এ নির্দেশ দেন।
জেলকোড বিধি-৫৫ মোতাবেক নিয়মিত তদারকি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কারাগার পরিদর্শন করতে যান মীর শফিকুল আলম। তখন কারাবন্দীদের বিভিন্ন সমস্যা শোনার সময় ১৩ জন কারাবন্দী জানান, তাঁদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী নেই। তখন জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী জজ) লুনা ফেরদৌসকে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেন মীর শফিকুল আলম।
এছাড়া পরিদর্শনের সময় তিনি কারাগারের বিভিন্ন কার্যক্রম, খাবারের মান ও কারা অভ্যন্তরে বন্দী কয়েদিদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেন।
মীর শফিকুল আলম কারা অভ্যন্তরের বিচারালয়ে (কেস টেবিল) বসে তিনি বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী হাজতিদের কাছ থেকে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তিনি জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডের একটি প্রকল্পের উদ্যোগে কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২৫ জন আসামিকে ২ প্যাকেট করে চাল-ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী দেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুস সালাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহকারী জজ এম এ সাঈদ, সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন ও রাজশাহী জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুজ জহির উপস্থিত ছিলেন।