জয়পুরহাটে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মোরশেদুল সরকার (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার একমাত্র আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।
জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোরশেদুল সরকার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ভূগোইল গ্রামের খয়রাত জামানের ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিশুর বাবা মোরশেদুল বাদী হয়ে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসানের (৩৪) বিরুদ্ধে কালাই থানায় মামলা করেন। এক মাস পর ওই বছরের ৩১ মে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আদালতে আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক এবং বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, মামলার আসামি মেহেদী হাসানের সঙ্গে মোরশেদুলের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ অবস্থায় মেহেদী হাসান ও তার পরিবারকে শাস্তি দিতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করা হয়। একই সঙ্গে তদন্তে ঘটনার সত্যতা জানা যায়। বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় মোরশেদুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে মেহেদী হাসানকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলার আসামি মেহেদী হাসানের সঙ্গে মোরশেদুলের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এজন্য শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করা হয়। বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজা চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে দেখা যায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। পরে বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়।