বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশদাতা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
সময় টিভির প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একই বেঞ্চ গত ৮ অক্টোবর রাত ৯ টায় বরিশালের শিশু আদালতের বিচারককে ৪ শিশুর জামিন নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করেন এবং ওই দিন রাতেই যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হতে এই ৪ শিশুকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে তাদের অভিভাবকের নিকট পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি বরিশালের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেন হাইকোর্ট। আজ রোববার ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টায় ওই চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তলবে হাইকোর্ট উপস্থিত হন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ।
বেলা সাড়ে ১১টায় সশরীরে তাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে অভিভাবকসহ ওই চার শিশু ও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ রোববার সকালে তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে চার শিশুর বক্তব্য শুনতে তাদের বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারকের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৬ বছরের প্রতিবেশি মেয়ে শিশুর সঙ্গে পাশের বাগানে খেলছিল এই ৪ ছেলে শিশু। পরে এই ৪ শিশুর বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন মেয়ে শিশুর বাবা, তারই প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করেন শিশুদের। মামলার এজাহারে শিশুদের বয়স ১০/১১ বছর উল্লেখ করা হয়। তবে পূর্ব শক্রুতার জেরে এই ৪ শিশুদের নামে মামলা করেছে এবং শিশুদের বয়স ৬/৭ বছর বলে স্বজনদের দাবি।