নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইনের ১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনার মামলার বিচার এখন থেকে শুধুমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা বলছেন, চেকের মামলায় এটি হাইকোর্টের একটি যুগান্তকারী রায়।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সব অধস্তন আদালতকে নির্দেশনা দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বলা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশনা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মাজেদুল কাদের এবং ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক।
হাইকোর্টের আজকের রায় নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইন এর অধীনে ১৩৮ ধারার অধীনে চেকের মামলার বিচার, আপিল এবং রিভিশনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা বৈষম্যমূলক বিধানের অবসান ঘটল। একই সাথে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের খরচ এবং হয়রানি অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
রায়ের নির্দেশনা মতে, সংশ্লিষ্ট আইনের ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার কেবলমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবেন না। ফলশ্রুতিতে চেকের মামলায় রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবেনা। আপিল শুধুমাত্র দায়রা জজ আদালতে করা যাবে। ফলে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে চলমান বৈষম্য দূর হবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, ‘চেক সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য কোনো আদালত নির্ধারিত ছিল না। এ ধরনের মামলার শুনানি অতিরিক্ত দায়রা জজ, যুগ্ম দায়রা জজ বা দায়রা জজ আদালতে হতো। এ কারণে চেকের মামলার রায়ের পর আপিল করার ফোরাম চেঞ্জ হয়ে যেত। হাইকোর্টে আপিল করতে হতো।’
এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। আদালত আজ রায়ে বলেছেন, ‘চেকের মামলার শুনানি শুধু যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে হবে।’