ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রীসভা (ফাইল ছবি)
ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রীসভা (ফাইল ছবি)

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত: সরকারি-বেসরকারি অফিসে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’

মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা পাওয়া যাবে না। মাস্ক ছাড়া কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

আজ রোববার (২৫ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এই সভায় যোগ দেন।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চারদিকে ম্যাসিভ ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে, সব স্তরেই। আমাদের যতগুলো ইনস্টিটিউশন আছে, লোকাল বা অর্গানাইজেশনাল প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছি “নো মাস্ক নো সার্ভিস”।’

ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান, হাট, বাজার, শপিংমল, স্কুল, সামাজিক বা ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে–এই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গত মিটিংয়েও বলেছিলাম, আমরা ডিভিশনাল কমিশনারদের ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার দেওয়া থাকবে–মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।’

সব জায়গায় মাস্ক ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব মসজিদে অন্তত দুবার নামাজের পর মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আদেশ প্রচার করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও সেটার সঙ্গে একমত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দেওয়া হবে না। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহনের বিষয়েও আমরা কথা বলবো। আমরা সড়ক, নৌপরিবহন ও রেল সচিবের সঙ্গে কাল-পরশুই বসবো। সেখানে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। “নো মাস্ক নো সার্ভিস” এটা অলরেডি কনভে করা হয়ে গেছে।’