প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, “আমার মনে হয়, এক একটা মনিমুক্তা আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এটা পূরণ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।”
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে রোববার (১ নভেম্বর) এক দোয়া অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। সদ্য প্রয়াত ব্যারিস্টার রফিকের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইন পেশার গৌরব-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মতো আইনজীবীদের স্মরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, “প্রয়াত এইসব বিশিষ্ট আইনজীবীদের আমরা যদি স্মরণ না করি তাহলে আমরা নিজেদের হেরিটেজ (ঐতিহ্য) রক্ষা করতে পারর না। আমাদের একটা গৌরবময় সময় ছিল, সেটি আমরা তুলে ধরতে পারব না।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইনের এমন কোনো শাখা নাই যেখানে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বিচরণ ছিল না। আইনের প্রত্যেক শাখা এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো পড়লে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের নাম পাওয়া যায়। রফিক-উল হক সাহেব সুপ্রিম কোর্টের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, “স্বল্প সময়ে রফিক-উল হককে নিয়ে বিশদ আলোচনা করা সম্ভব না। উনার জন্য একটি পৃথক আলোচনার অনুষ্ঠান করতে হবে। যেখানে দীর্ঘ সময়ব্যাপী তার জীবন-কর্ম নিয়ে আলোচনা হবে।”
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ভাই মঞ্জুর-উল হকের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
উল্লেখ্য, আইনশাস্ত্রের বাতিঘর খ্যাত সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ২৪ অক্টোবর মারা যান।
সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আলোচিত ছিলেন।
নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন ব্যারিস্টার রফিক।