একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দু’টি মামলায় শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় পরিবার এবং আইনজীবীদের জিম্মায় দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের পৃথক পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন— নড়াইলের লোহাগড়ার নওয়া গ্রামের নবীর শেখের ছেলে দাউদ শেখ এবং ঝিনাইদহ সদরের কোলা (পূর্বপাড়া) মৃত আ. হামিদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রশিদ মিয়া।
ট্রাইব্যুনালে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও গাজী এমএইচ তামিম। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
পরে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান সাংবাদিকদের জানান, দাউদ শেখের ইউরোজিক্যাল এবং আব্দুর রশিদ হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। তাই শর্ত সাপেক্ষে তাদের দু’জনকে পরিবার এবং আইনজীবীদের জিম্মায় জামিন দেওয়া হয়।
রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, ঢাকায় অবস্থান করা, পাসপোর্ট থাকলে জমা দেওয়াসহ কয়েকটি শর্তে মেডিক্যাল যুক্তিতে দাউদ শেখকে ২ ডিসেম্বর এবং আব্দুর রশিদকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই তদন্ত সংস্থা নড়াইলের লোহাগড়ার নওয়া গ্রামের নবীর শেখের ছেলে দাউদ শেখসহ যশোর-নড়াইলের ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। প্রতিবেদনে আসামির বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
অপরদিকে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদরের কোলা (পূর্বপাড়া) মৃত আ. হামিদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রশিদ মিয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা। এ তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ জুন তদন্ত শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার দুটি অভিযোগ আনা হয়।