ভারতীয় তরুণীর যৌতুক মামলায় বাংলাদেশি যুবক কারাগারে
কারাগার (প্রতীকী ছবি)

নারী ইউপি সদস্যের চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় চেয়ারম্যান কারাগারে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যকে সদস্যের চরিত্র নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দণ্ডিত একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারা পাঠিয়েছেন আদালত।

পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন রোববার (১৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।

এর আগে, নারী ইউপি সদস্য মোসা. শাহানারা বেগমের চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক শোভন শাহরিয়ার ১১নং ডাবলুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদারকে ১৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

তখন পলাতক থাকার পর রোববার পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদার। তবে বিচারক মো. জামাল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে পটুয়াখালীর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য মোসা. শাহানারা বেগম ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা মানহানির অভিযোগসহ ন্যয়বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।বাদীর প্রদত্ত জবানবন্দির পর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ফেরদৌস মিয়া আদেশের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্তে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে চেয়ারম্যান জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ফেরদৌস মিয়া বলেন, এ মামলায় মোট ৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মো. গোফরান বিশ্বাস পলাশ বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক।

উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল ২০১৯ রাত ৮টার দিকে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদার পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার পরিষদের নারী ইউপি সদস্য ও চাচাতো বোন মোসা. শাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের হলরুমে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ইউপি সদস্যের চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৫ দিন পর মামলা করেন শাহানারা।