সম্পদের হিসাববিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পদের নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম না হওয়ায় আসামি ইশরাককে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় ইশরাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বলা হয়, আসামি ইশরাক হোসেনকে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নোটিশটি যথাযথভাবে দেওয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি একই আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর ৩ মার্চ মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শামসুল আলমের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষীর ৬ জন সাক্ষ্য দেন। গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ১১ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
ওই আদলতে দুদকের সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে, সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়ার পরও তা দাখিল না করায় ইশরাকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে, বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলেন।
তবে নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় নন সাবমিশন মামলা করেন সংস্থাটির তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম।
নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) (ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়।