করোনা সংক্রমণকালে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর এমসিকিউ উত্তীর্ণ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর এডভোকেটশিপ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) বার কাউন্সিলের সচিব রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে এনরোলমেন্ট কমিটির মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১৯ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ প্রদান করা হতো। তবে দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় আইনজীবী হতে বর্তমানে নৈবর্ত্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
আবার ওই তিন ধাপের যে কোনও একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মত অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদের পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মত বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী সহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, আপিল বিভাগের রায় প্রতিপালন না করে অনিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ ও খাতা রিভিউ সুবিধা প্রদান না করা সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। আন্দোলনের মুখে গত ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশ দেন। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এদিকে করোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে ভাইভার মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছিলেন পরীক্ষার্থীরা।