ভার্চ্যুয়াল কোর্ট (ছবি- প্রতীকী)
ভার্চ্যুয়াল কোর্ট (ছবি- প্রতীকী)

ভার্চুয়াল কোর্টের বৈধতা প্রশ্নে রিট খারিজ

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট চলমান রয়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে রুল জারির প্রয়োজন মনে করছি না। তারপর আদালত রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম আসিফুল হক।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মাসে আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী এ কে এম আসিফুল হুদা। শুনানি নিয়ে রিটটি খারিজ করলেন আদালত।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমতো হাইকোর্ট বিভাগ, সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

এর এক দিন পর ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৮ জুলাই বিলটি সংসদে পাস হয় এবং ৯ জুলাই গেজেট প্রকাশিত হয়।