আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ : ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জামিন

আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ : ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জামিন

ভয়ভীতি ও মারধরের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন উচ্চ আদালতের দেওয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি ও মারধরের অভিযোগ এনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী কাজী মো. জয়নাল আবেদীন।

তিনিও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সম্পাদক ছিলেন তিনি। মামলার অভিযোগে তাকে মারধর ও তার পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে কোর্ট বর্জনের ডাক দেয় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৩ জানুয়ারি একটি মামলার খবর নিতে সুপ্রিম কোর্ট গেলে আইনজীবী ফোরামে কোন পদ না থাকা সত্ত্বেও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সামাজিক ও পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উক্ত ফোরাম থেকে তাকে বহিষ্কার করেন।

ওই দিন দুপুরে বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে ধমক দিয়ে পাশে থাকা অনুসারীদের ধরার জন্য বলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সেখান থেকে কোনো রকম বের হয়ে চলে আসলেও বিকেলে তার ঠিকানায় এসে সুপ্রিম কোর্ট বারের মূল ভবনের ৪০৯ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশে আইনজীবী শাহের খান পাঠান তাকে মুখে ঘুসি মারে। এর কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী এরশাদ ওরফে রাশেদ আমার বাম চোখের নিচে লোহার চেয়ার দিয়ে আঘাত করে।

এ ঘটনার সময় বাকি আসামিরা তাকে মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। প্যান্টের পকেটে থাকা ১০ হাজার ৫৭৫ টাকাও নিয়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে তার চিৎকারে আশেপাশের রুমের লোকজন এসে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।