বানোয়াট মামলা ও ভুয়া ওয়ারেন্টের ভুক্তভোগী হচ্ছেন শত শত মানুষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মামলার বাদী হন ভাড়াটে লোকজন। এক্ষেত্রে আসামি চেনেন না বাদীকে, বাদী চেনেন না আসামিকে। ‘এই গায়েবি মামলাবাজ সিন্ডিকেট কি সব আইনের ঊর্ধ্বে?’ এমন অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বানোয়াট মামলা ও ভুয়া ওয়ারেন্টের ভুক্তভোগীরা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মানববন্ধন করে। কর্মসূচির শুরুতেই পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তারা। পরে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা এসে তাদের সরিয়ে দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী এক নারীর অভিযোগ, ‘আমার বাবা এবং ভাই ৫টি মিথ্যা মামলায় কারাগারে। আমার স্বজনরা মিথ্যা মামলায় কারাগারে অথচ আপনারা আমাদের এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না। আমাদের কথাও শুনছেন না। আমরা তো মাইক ব্যবহার করছি না। বাবা-ভাইয়ের বন্দিত্বে পরিবারের অসহায় অবস্থা।’
মানববন্ধনে অংশ নেয়া রাজধানীর শান্তিবাগের একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৯টি মামলা। এগুলোর মধ্যে ঢাকা সিএমএম কোর্টে ১৩টি, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট ও থানায় রয়েছে আটি মামলা। অন্য মামলাগুলো হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার কোর্ট ও থানায়।
তিনি জানান, অবাক করার মতো ব্যাপার হলো এগুলোর মধ্যে ৯টি মামলা হয়েছে কারাগারে থাকা অবস্থায়।
তারা ছাড়াও এদিন মানববন্ধনে অংশ নেয় আরও ২০-২৫টি পরিবার। তাদের সবার দাবি, মিথ্যা ও ভুয়া মামলায় আসামি হয়ে স্বজনরা চরম কষ্টে আছেন। সাজানো এসব মামলায় প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।