মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে রেকর্ড গড়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী।
নবনির্বাচিত সভাপতির ভাষ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর বার নির্বাচনের ইতিহাসে এতো ব্যবধানে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। পাশাপাশি তার উপর আইনজীবীদের আস্থার যথোপযুক্ত প্রতিদান দেবেন বলেও নির্বাচিত হবার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান তিনি।
এছাড়া নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। ১৫টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ১৩টি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আওয়ামী আইনজীবী প্যানেল থেকে মাত্র একজন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গতকাল শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোট দান শুরু হয় মাঝে নামাজের বিরতি দিয়ে ৩টা পর্যন্ত ভোটদান পর্ব চলে। ভোটদান পর্ব শেষে ভোট গণনা শুরু হয়। মোট ১২৩ জন ভোটারের মধ্যে ১০৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আর নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিমল কুমার।
এতে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৫ টি পদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ১৫ জন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ১১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে মিয়াজান আলী সহ ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী ৫০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আনোয়ার হোসেন পান ৩৫ ভোট, তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের শাজাহান আলী পান মাত্র ২১ ভোট।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ফরিদ উদ্দিন ৬৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এ কে এম আসাদুজ্জামান ৩৯ ভোট পান।
আওয়ামী লীগের মনোনীত একমাত্র বিজয়ী সহ-সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা ৪৭ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি পদে বিএনপির মনোনীত রফিকুল ইসলাম ৬১ ভোট পান।
নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (২) (৫৯) ভোট, মিজানুর রহমান (৫৮) ভোট, কোষধক্ষ এহান উদ্দিন মনা (৬৩)ভোট, পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এ এস এম এম হাসানুল্লাহ (৫২) ভোট।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য মোখলেসুর রহমান স্বপন (৮১) ভোট, হাসান মাহবুবুর রহমান(৫৫) ভোট, আরিফুজ্জামান (৬৮) ভোট, সাইফুল ইসলাম(৭১) ভোট, শফিউল আযম খান (৬৭) ভোট, সেলিম রেজা (৬৮) ভোট ও খুরশিদা খাতুন(৫৯) ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হন।