মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার রমেন্দ্র পালিত (৬৫) হত্যা মামলার বাদী তারই মেয়ের জামাই বিপ্লব খাস্তগীরের বিরুদ্ধে মামলার দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই মামলার প্রধান আসামি মো. ফোরকানের জামিন শুনানিকালে আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না।
এর আগে, মামলার বাদী বিপ্লব খাস্তগীর হাইকোর্টে এসে আপসনামা দাখিল করে জানান, এই মামলা চালানোর আর আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই। তাকে জামিন দিলেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
তবে সেই আপসনামা দেখে হাইকোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘৩০২ ধারার অধীনে দায়েরকৃত কোনও মামলা আপস হতে পারে না। একটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে। লাশ পাওয়া গেছে। ১৬৪ ধারায় আসামি স্বীকার করেছে যে এইভাবে মানুষটাকে আমি হত্যা করেছি। এই মামলা আপস হয় কীভাবে?’
এরপর হাইকোর্ট মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করায় উষ্মা প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘যেহেতু বাদী নিজেই আসামির জামিন চাচ্ছেন, তাই আমরা জামিন দিলাম। কিন্তু বাদী যে মিথ্যা তথ্য দিলেন, এ কারণে হাটহাজারী থানাকে নির্দেশ দিচ্ছি, বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন ফটিকছড়ি এলাকার বাসিন্দা রমান্দ্র পালিত চাকরি শেষে যে টাকা পেয়েছিলেন তা একই এলাকার মো. ফোরকানকে ধার দেন। সেই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
সেই বিরোধের জেরে ২০০৫ সালে ফোরকান রমান্দ্র পালিতকে হত্যা করেন। পরে রমান্দ্র পালিতের মেয়ের জামাই বিপ্লব খাস্তগীর হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় মো. ফোরকান কীভাবে রমান্দ্র পালিতকে হত্যা করে তার বর্ণনা দেন। ইতোমধ্যে তিন জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।