অ্যাডভোকেট মোঃ ফিরোজ উদ্দীন: প্রতিবন্ধীতা মানব বৈচিত্র্যের অংশ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের সামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীর মোট ৭ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ১ বিলিয়ন এর বেশি মানুষ কোন কোনভাবে প্রতিবন্ধীতার শিকার। এই প্রতিবন্ধীতার শিকার মানুষগুলোর মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষই উন্নয়নশীল দেশে বাস করে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১ লক্ষ ৬৭হাজার ৭৩৬ জন মানুষ প্রতিবন্ধীতার শিকার। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্মলগ্ন থেকেই অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়। এমন কিযদি পিতা-মাতা যদি জানতে পারেন যে তার গর্ভের সন্তানটি প্রতিবন্ধীতা তাহলে তাকে জন্মের পূর্বেই মেরে ফেলার মতঘটনাও ঘটে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি অজ্ঞতা, অবহেলা, কুসংস্কার এবং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি বিদ্যমান অবহেলা ও বৈষ্যকে করেছে ত্বরান্বিত। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সব সূচকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত এবং যাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনেবৈষম্যনিত্য সঙ্গী।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই বৈষম্যের প্রতিকারের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কিত আইন ও মানবাধিকার সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এমন দক্ষ মানুষএবং প্রতিবন্ধী বান্ধব মানবিক বিচারিক কার্যক্রমের অভাব বেশ জোরেশোরে পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি বৈষ্যমের প্রতিকার দুইভাবে হতে পারে যেমন (১) দেশীয় এবং (২) আন্তর্জাতিক আইনে। আমাদের দেশে বিদ্যমান আইনে বৈষম্য প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে আবার দুইভাবে ভাগ করা যায় যথাঃ (১) বিচারিক ব্যবস্থা (Judicial Mechanism) এবং (২) আধা-বিচারিক ব্যবস্থা (Quasi-Judicial Mechanism)।
আধা-বিচারিক ব্যবস্থা (Quasi-Judicial Mechanism) প্রধানত মূল বিচারিক কার্র্যক্রমের বিকল্প হিসাবে মানুষের প্রতিঘটিত বৈষম্য কিংবা অপরাধেরপ্রতিকারের দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে করা। এই বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারিক মানদন্ড নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ তাদের বিরুদ্ধে কৃত বৈষ্যমের বিরুদ্ধে প্রতিকারের জন্য দেশে বিদ্যমান দুইটি আইনের সহয়তা নিতে পারেন। যার প্রথমটি হল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন,২০১৩ যা শুধু প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। অপরটি হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ যা প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধীসহ সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন,২০১৩ এর উদ্দেশ্যে হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকারের বাস্তবায়ন ও সুরক্ষা প্রদান করা। আইনের ১৬ ধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কিছু অধিকারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় উল্লেখিত অধিকারসমূহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকারের আন্তর্জাতিক সনদ (ইউএনসিআরপিডি),২০০৬ এরস্বীকৃত একাধিক অধিকারের সন্বিত প্রকাশ। এই অধিকার সমূহের সুরক্ষায় এই আইনের ধারা ২(২০) বৈষম্যকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
আইনে বৈষম্য বলতেপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির তুলনায় অন্যায্য আচারণ এবং নিম্নলিখিত এক বা একাধিক অন্যায্য আচরণকে বুঝায়, যথা (১) অধিকার হতে বঞ্চিত করা (২) পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করা (৩) প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা প্রদানে অস্বীকৃতি বা কম সুযোগ সুবিধা প্রধান এবং (৪) সরকার ঘোষিত অন্যান্য আচারণ। আইনের ৩৬ ধারাকে আইনের প্রাণকেন্দ্র বলে অভিহিত করা হয় কারণ এই ধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রতিকার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কোন আচরণ কিংবা কাজ বা কাজ হতে বিরত থাকার দরুন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বৈষম্যের শিকার হন কিংবা ১৬ ধারায় উল্লিখিত অধিকার হতে বঞ্চিত হওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হন সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজে বা তার সম্মতিতে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়ীব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন এর বিধিমালা,২০১৫ তে উল্লেখিত ৬ নং ফরমে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণসহ আইনের ২১ ধারায় গঠিত সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির নিকটএই বিধি ৫ অনুসারেক্ষতিপূরণ দাবি করে আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেক জেলায় এই আইনের অধীনজেলা প্রশাসককে প্রধান করে জেলা কমিটি গঠনে করে বৈষম্যের প্রতিকারে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আবেদন প্রাপ্তির পর জেলা কমিটি অনুসন্ধান এবং শুনানিপূর্বক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ অথবা অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আদেশ দিবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করা না হলে কিংবা অধিকার বাস্তবায়ন না হলে জেলা কমিটি সার্মথ্য অনুসারে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের আদেশ দিবেন। আদেশের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ১৯ ধারায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির নিকট আপীল করতে পারবেন তবে উপর্যুক্ত কারণে ৩০ দিন পরেও আপীল করা যাবে। আপীল আবেদনের পর জাতীয় নির্বাহী কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে শুনানীপূর্বক আপীল নিষ্পত্তি করবেন এবং অন্যথায় আপীল খারিজ করবেন।
নির্বাহী কমিটির আদেশ সকলের উপর বাধ্যকর এবং দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের আদেশ দিলে দায়িক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ না করলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব যেভাবে আদায় হয় সেভাবে দায়ীকের নিকট হতে আদায়যোগ্য হবে এবং আদায়ের সুবিধার্থে দায়ীক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অনুরোধ করতে পারবে। এই প্রক্রিয়ায়আদায়কৃত অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রদান করা হবে।
মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার, সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন,২০০৯ প্রণয়নের মধ্যে দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষায় মানবাধিকার কমিশন গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানবাধিকার লংঘিত হলে অথবা লংঘনের আশংঙ্কা দেখা দিলে প্রতিকারের জন্য প্রতি মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আধা-বিচারিক (Quasi-Judicial) ক্ষমতার অধিকারী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিকট নিম্নলিখিত কারনে অভিযোগ দায়ের করা যায়। যথাঃ (ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগে বর্ণিত অধিকারের লঙ্ঘন হলে বা লঙ্ঘনের আশংকা তৈরি হলে; বা (খ) স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বর্র্ণিত অধিকার সমূহ লঙ্ঘিত হলে; (গ) যদি রাষ্ট্রীয় বা সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠণ বা কোন জনসেবক কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বা লংঙ্ঘনের প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বা এই সব লংঘন প্রতিরোধে অবহেলা করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজে বা তার সম্মতিতে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মানবাধিকার কমিশনের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। অবস্থা বিবেচনায় কমিশন স্ব উদ্যোগেও অভিযোগ গ্রহণ করতে পারেন। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্ধারিত ফরমে অথবা কম্পিউটার কম্পজ করে অথবা সাদা কাগজে হাতে লিখে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অভিযোগ পত্রটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজে বা তার সম্মতিতে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে অথবা ডাক মারফত, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পাঠানো যায়। অভিযোগ পত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছবি, অডিও, ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি সংযুক্ত করা যেতে পারে।
অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমিশনের বাছাই সেল অভিযোগটির আইনগত দিক পরীক্ষা করে দেখবে। বাছাই সেলের নিকট যদি প্রতিয়মান হয় অভিযোগটি কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে তাহলে অভিযোগকারীর কী উচিৎ? সে বিষয়ে পরামর্শসহ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অভিযোগটি অভিযোগকারীর ঠিকানায় লিখিত উত্তর পাঠাবেন।
অভিযোগটি কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে হলে কমিশন অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক তদন্ত বা অনুসন্ধান কালে কমিশনের দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতা থাকবে (ধারা ১৬)। অভিযোগের তদন্তকালে কমিশন সরকারের কাছে বা সরকারে অধীন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট কাছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য চাইতে পারে। সরকারের নিকট থেকে কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেলে কমিশন নিজে তদন্ত করতে পারে। আর যদি কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকাররের নিকট থেকে তথ্য পেয়ে সন্তুষ্ট হন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার বা কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে কমিশন তদন্ত বা অনুন্ধান করবে না (ধারা ১৭)।
আবার সশৃঙ্খলা বাহিনীর বা তার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে কমিশন নিজ উদ্যোগে বা কোন আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের কাছে তথ্য চাইতে পারে। তথ্য পাওয়া পর কমিশন সন্তুষ্ট হলে অভিযোগের বিষয়ে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করবে না। কিন্তু যদি কমিশন মনে করে এবিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন তাহলে কমিশন সরকারকে পরামর্শ দিবেন। কমিশন থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত হলে সরকার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে লিখিতভাবে কমিশনকে অভিহিত করবেন। কমিশন সরকারের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রতিবেদনের একটি কপি অভিযোগকারীর বা অভিযোগকারীর প্রতিনিধি নিকট প্রেরণ করবেন (ধারা ১৯)।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মানবাধিকার কমিশন তার সামনে হাজির হওয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকের নিকট সমন জারি করতে পারেন। সমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং যেক্ষেত্রে সম্ভব না সেক্ষেত্রে তার সর্বশেষ বাসস্থানে সরবরাহ করে বা রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে সমন প্রেরণ করতে পারেন। সমন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কমিশনে হাজির হয়ে কমিশন কর্র্তৃক জিজ্ঞাসিত সকল প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
অভিযোগের সতত্যা পাওয়ার পর কমিশন অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতা বা সমঝোতাকারীর নিকট প্রেরণ করবেন। মধ্যস্থাতা বা সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কমিশন উভয়পক্ষকে মধ্যস্থতাকারী বা সমঝোতাকারীর নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিবেন। মধ্যস্থতা বা সমঝোতার মাধ্যমে যদি অভিযোগের নিষ্পত্তি সম্ভব হলে মধ্যস্থতাকারী বা সমঝোকারী বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করবে। কমিশন মধ্যস্থা বা সমঝোতা কার্যকর করার জন্য জরিমানা আরোপসহ অন্যান্য নির্দেশ দিতে পারে (ধারা ১৫)।
সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি সম্ভব না হলে কমিশন অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা আইনানুক ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিকট সুপারিশ করতে পারে। সেই সাথে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তা সুপারিশে উল্লেখ করবে।
অভিযোগটি সংবিধানের ১০২ অনুসারে রীট যোগ্য হলে কমিশন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্টে আবেদনের ব্যবস্থা করবেন বা প্রয়োজনে কমিশন নিজে হাই কোর্টে আবেদন করবেন (ধারা ১৯)। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ধারা ১২(২) অনুসারে নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানের বিষয়গুলো মানবাধিকার কমিশনের কার্যবলী বা দায়িত্বের বাহিরে থাকবে। যথাঃ(ক) আদালতের বিচারাধীন মামলার কোন বিষয়; (খ) ন্যায়পাল আইন,১৯৮০ এর অধীন ন্যায়পাল কর্তৃক বিবেচ্য কোন বিষয়; (গ) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী এবং সংবিধিব্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীর সংক্রান্ত এমন কোন বিষয় যা Administrative Tribunals Act,1980 (XVI of 1981) এর অধীন স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য বিষয়।
অ্যাডভোকেট মোঃ ফিরোজ উদ্দীন: মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানবীশ আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ই-মেইল: firojlawru@gmail.com