শরীয়তপুরের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের এর মাধ্যমে নড়িয়া নিবাসী মোসাঃ রোকেয়া আক্তার রুপার গর্ভজাত ৭ বছর বয়সী কন্যা সৈয়দ নিসা আরবি ফরিদপুর নিবাসী সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমনের ঔরষজাত সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি ও ভরণপোষণের অধিকার ফিরে পেয়ছেন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইফতি হাসান ইমরান (বিচারক) এর মধ্যস্থতায় এই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিটি সফল হয়।
আদালতসূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার ঢালীপাড়া গ্রাম নিবাসী মোসাঃ রোকেয়া আক্তার রুপার গর্ভাবস্থায় তার স্বামী ফরিদপুর নিবাসী সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমনের সাথে তালাক হয়। তালাক হওয়ার কিছুদিন পরে সৈয়দ নিসা আরবি জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মের পর থেকেই সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমন সৈয়দ নিসা আরবিকে তার ঔরষজাত সন্তান হিসেবে স্বীকার করছিলেন না। অসহায় হয়ে মোসাঃ রোকেয়া আক্তার রুপা কন্যার পিতৃ পরিচয় প্রতিষ্ঠার আশায় শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করলে উক্ত অফিস অপরপক্ষ সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমনকে নোটিশ করে আপোষ মীমাংসার জন্য ধার্য তারিখে উপস্থিত হতে বলেন।
পরে গত ০৬/০১/২০২০ খ্রি. তারিখে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইফতি হাসান ইমরান (বিচারক) এর মধ্যস্থতায় আপোষে সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমন সৈয়দ নিসা আরবিকে তার সন্তান হিসেবে স্বীকার করেন এবং নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান সহ ভবিষ্যৎ ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে নিসা আরবিকে ৩০০০/- টাকা করে প্রদান করতে সম্মত হন। এছাড়া প্রতি নতুন বছরের শুরুতে এই ধার্য টাকা ০৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে মর্মে সম্মত হন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের অফিস সহকারী সঞ্চিতা দাস ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আপোষের পরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সৈয়দ কামাল উদ্দিন লিমন তার কন্যা সৈয়দা নিসা আরবিকে কোলে তুলে নেন এবং ক্রন্দনরত অবস্থায় তার কন্যাকে আদর করতে থাকেন। এসময় অফিসের উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আবেগতাড়িত হয়ে অশ্রুসিক্ত হন।