টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি আলমগীর হোসেনের জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এ সময় ‘আসামী এত ক্ষমতাধর কোন কিছুই তাকে খুঁজে পেল না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আসামির জামিন স্থগিতের আদেশ দেন।
হত্যা মামলার এই আসামি অভিযোগপত্র দাখিলের চার বছর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ বিষয়টি আপিল বিভাগের দৃষ্টিতে আনার পর প্রধান বিচারপতি আসামির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি এত পাওয়ারফুল কোন কিছুই আপনাকে খুঁজে পেল না।
এ পর্যায়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি আত্মসমর্পণ করবে। সেখানে আসামির আত্মসমর্পণ করতে চার বছর লেগেছে?
আসামির আইনজীবী এএফএম মেসবাহউদ্দিন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এজাহারে আমি আসামি ছিলাম না। চার্জশিটে নাম এসেছে। কিন্তু কোন সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে কিছু বলে নাই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, এই মামলায় ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষী সম্পন্ন হয়েছে। মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। আসামিকে জামিন দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের হুমকি দেবেন। এছাড়া ৬ মাসের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। দ্রুতই মামলার বিচার শেষ হবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, জামিন কবে হয়েছে? ডিএজি বলেন, ১০ জানুয়ারি জামিন পেয়েছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এতদিন পলাতক থেকে আত্মসমর্পণ করে দুই মাসের মধ্যে জামিন পেয়ে গেলো!
শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে জামিন স্থগিত করে দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালে এই মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেই চার্জশিটে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়।