বরিশালের মুলাদীতে ডিক্রিরচর এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ইদ্রিস হাওলাদার। আসামি ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সম্পর্কে চাচা হন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের এপিপি নাজমা বেগম শিউলী জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ছাত্রী তার সৎ মায়ের সঙ্গে মুলাদীতে থাকতো। তার বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। সৎ মা বকাঝকা করলে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী আসামি ইদ্রিসের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতো।
২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সৎ মায়ের হাতে মার খেয়ে ইদ্রিসের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। গভীর রাতে ইদ্রিসের স্ত্রী ঘরের বাইরে বের হলে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে বললে তার ছোট ভাই ও তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এর কিছুদিন পর সৎ মা গোসলরত ছাত্রীর শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করে মেয়েকে চাপ দিলে সে সবকিছু বলে দেয়।
বিষয়টি তার পিতার কাছে জানালে সে বাড়িতে এসে ওই বছরের ৩০ জুলাই বাদী হয়ে একমাত্র ইদ্রিসকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার এসআই ফারুক হোসেন খান একমাত্র ইদ্রিসকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় দেন।