ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বছর ৩ আগে শ্যামপুর থানার ওসি সুমন দাসকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ১৪ জনকে দোষী সাবস্ত করল হাওড়া আদালত। মূল অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান পেশায় আইনজীবী।
হাওড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন।
এতে আইনজীবী মুন্সি মতিয়ার রহমান-সহ ৪ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত আরও ৮ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ জনকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা নাগাদ ওয়ারেন্ট নিয়ে ২ অভিযুক্ত লিয়াকত মুন্সি ও মনিরুল মুন্সিকে গ্রেফতার করতে বারগরচুমুক গ্রামে হাজির হয় পুলিশ। তৎকালীন ওসি সুমনের নেতৃত্বে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় হামলা হয়।
অভিযোগ উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবী মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার দলবল হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয় ২ অভিযুক্তকে। লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় সুমনকে।
এমনকি মাথায় শরীরে প্রচণ্ড আঘাত করে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মাথা শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ ৭ মাস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বাড়ি ফিরলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন সুমন।
সেই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রেফতার করা হয়েছিল ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকেই। তদন্তকারী অফিসার রাজা মুখোপাধ্যায় চার্জশিট জমা দেন আদালতে।
সরকারি আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাজা ঘোষণা হলেও আসামিদের মঙ্গলবার আদালতে আনা হয়নি কোভিড পরিস্থিতির কারণে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।
রায় শোনার পর সুমন বলেন, “এই ঘটনায় তার উচ্চপদস্থ অফিসার এবং সরকার পক্ষের আইনজীবীরা যে ভাবে লড়াই করেছেন তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। সত্যের জয় হয়েছে।”