কারাবন্দি ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির জামিন করিয়ে দিতে অর্থের লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে তিনি দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। সেখান থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুদকের উপপরিচালক ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রুপাকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে তিনি বের হয়ে আসেন।
বের হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়মন্ত্রমূলক। কাউকে জামিন দেয়া একমাত্র আদালতের এখতিয়ার।’
তবে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হতে অনেক চেষ্টা করেন এই ডিএজি। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় তাকে। দুদকের ওই নোটিশে গত বছরের ৪ নভেম্বর হাজির হওয়ার কথা ছিল।
তবে তিনি সেদিন হাজির না হয়ে উল্টো দুদকের তলব আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন। পরে তলবি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রুপার রিট আবেদনটি গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
হাইকোর্ট তার রিটটি খারিজ করে দিলে ফের এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। দ্বিতীয়বারের তলবি নোটিশে ২৭ জানুয়ারি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধানে দেশের ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।