জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ এক ভুক্তভোগী তরুণী কলারের ফোনে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ১৪ তরুণীকে উদ্ধার করেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ।
আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে আটটায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে একজন তরুণী কলার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া থেকে থেকে ফোন করে তাকে উদ্ধার করার আকুতি জানান।
তরুণী জানান, তার বাড়ি জামালপুরের তেতুলিয়া। নয় মাস আগে তার ভাবি চাকরির প্রলোভনে তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে বিক্রি করে দেয়। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ করানো হচ্ছিল।
তরুণী আরও জানায়, সে বর্তমানে অসুস্থ, পতিতা পল্লীর বন্দি অবস্থা থেকে সে মুক্তি পেতে চায়। তরুণী জানায় তার কাছে কোনও ফোন নেই। অন্য একজনের থেকে সে ‘৯৯৯’ এ কল দিয়েছে।
৯৯৯ তাৎক্ষণিক ভাবে কলারের সঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবী ‘৯৯৯’ কে ফোনে জানান, তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে আরও ১৩ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ১৪ তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত তরুণীদের সেফ হোমে এবং তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।