শব্দ দূষণের জন্য দায়ী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ এবং রাজধানীর কয়েকটি রাস্তায় রাতের বেলায় তদারকিতে নির্দেশনার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৮ মার্চ দিন রেখেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, শব্দ দূষণে দায়ী হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে রিট করা হয়। এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রুলসহ নির্দেশনা দেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই সব নির্দেশনার পর তৎপর হওয়ায় শব্দ দূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবার শব্দ দূষণ বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করেছি।
এরপর উচ্চ আদালত যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক), বিআরটিএ চেয়ারম্যান, উপকমিশনার (ট্রাফিক) উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধে এবং কাকরাইল-ভিআইপি রোড-মগবাজার, মৎস্যভবন-শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে গাবতলী রোডে রাতের বেলায় তদারকি টিম রাখার নির্দেশনার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।