পেশাগত অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা তিন বিচারপতির তদন্ত নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি দেড় বছরেও। এমনকি জানা যায়নি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কী অভিযোগ আছে। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি পরিষ্কার করেননি।
এতে দেড় বছর ধরে বন্ধ হাইকোর্টের দুটি এজলাস। আদালতে না বসলেও বিচারপতি ও কর্মচারীরা নিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা। এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার (২৭ জনুয়ারি) জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, অচিরেই সুরাহা হবে বিষয়টি।
পেশাগত অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে সাময়িক বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর তদন্তের নামে কেটে গেছে দেড় বছর।
তদন্তের অগ্রগতি কি আর এমনকি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে তাহলে কি ধামাচাপা পড়ে গেল তাদের অনিয়মের বিষয়টি।
এ তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি কাজী রেজাউল হক, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হক।
তিন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখায় দেড় বছর ধরে বন্ধ তাদের ব্যবহৃত দুটি আদালত। যদিও বিচারপতি আর কোর্টের কর্মচারীরাও অফিস করছেন। নিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। এমন প্রেক্ষাপটে বিষয়টি উঠেছে সংসদে।
জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক সংসদকে অবহিত করেন। বলেন, তারা রাষ্ট্রের সব সুবিধা নেন দেড় বছর ধরে, বেতন নেন অথচ কাজ করেন না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে নাকি জনগণ জানে না। এটি জানার কি ব্যবস্থা, যদি অভিযোগ থাকে তাদের বিরুদ্ধে, তাহলে কি ব্যবস্থা আছে- এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, তিন বিচারপতির বিষয়টি খুব শিগগিরই সমাধান হবে। মন্ত্রী বলেন, আমি সংসদ সদস্যর সঙ্গে একমত যে, এ বিয়ষটির সুরাহা হওয়া উচিত। সংসদ সদস্যকে বলতে চাই এ বিষয়টি সুরাহার পথে।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন বিচারাধীন থাকায় বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে ভিন্নভিন্ন মত রয়েছে। তাহলে তিন বিচারপতির বিষয়ে কিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।