মো.সামিউল আলম: আমরা একটা লম্বা সময় জুড়ে ব্রিটিশদের উপনিবেশ ছিলাম। যার ফলে আমাদের আইনে উপনিবেশিকতাবাদের একটা ছাপ স্পষ্ট হয়ে আছে। দণ্ডবিধি হচ্ছে দণ্ড সম্পর্কিত আইন। এই আইনটি ১৮৬০ সালে প্রণীত। সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত এই আইনটি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রথমে ১৮৩৭ সালে ভারতীয় আইন কমিশন গঠন করা হয়। ৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত উক্ত কমিশনের সভাপতি ছিলেন লর্ড মেকলে। লর্ড মেকলে ভারতীয় দণ্ডবিধি নামকরণে প্রথমে খসড়া প্রস্তুত করেন এবং এটি ১৮৩৭ সালে ভারতীয় গভর্নর জেনারেল লর্ড অ্যাকল্যান্ডের নিকট পেশ করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি নামে আইনটি প্রকাশ ঘটলেও পরবর্তীকালে দণ্ডবিধি নামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে প্রচলিত হয়েছে।
এই আইনটি অপরাধ সনাক্ত করে এবং শাস্তি প্রদান করে। যে সকল কাজ আইনের চোখে দোষণীয় বা দণ্ডনীয় উক্ত কাজ করার ফলশ্রুতিতে দণ্ড ভোগ করতে হয়। ২৩টি অধ্যায় এবং ৫১১টি ধারায় আইনটি বিভক্ত। কিন্তু, ১৬০ বছরের পুরনো আইনটির কিছু-কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করা খুবই জরুরি।
সমাজের পরিবর্তনে, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে, অপরাধের ধরণের পরিবর্তনে, অপরাধীর নতুন প্রকারভেদ সৃষ্টি হওয়ায় দণ্ডবিধি নামক এই আইনটি কিছু কিছু বিধান পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। বিশেষ করে গণপিটুনি, হোয়াইট কলার অপরাধ,আর্থিক ও অর্থনৈতিক অপরাধ এবং প্রযুক্তিগত নতুন অনেক অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো কিনা দণ্ডবিধিতে বিবেচনা করা হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ স্যার তার “আইনের ভাব ও অভাব” বইয়ে একটা কথা বলেছিলেন পেনালে পেনালে একদম পেনালাইজড হয়ে গেলাম। আমাদের দণ্ডবিধির অবস্থা ঠিক এই রকমই। যেদিকে তাকাই শুধু দণ্ড আর দণ্ড। আমরা বোধহয় জাতি হিসেবে কাউকে দণ্ডায়িত করতে পারলেই খুশি। এইজন্যই শুধু চারদিক থেকে কিছু হলেই ফাঁসির দাবি জানাই। অপরাধ যেটাই হোক আমরা মিডিয়ার ক্যামেরায় অপরাধীর ফাঁসির সাজা দাবি করি।
যাহোক বলছিলাম আমাদের দণ্ডবিধির অত্যধিক দণ্ডের কথা। হ্যাঁ, দণ্ড বা শাস্তি অবশ্যই দরকার আছে। আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামেও অপরাধীর শাস্তির কথা বলা আছে। কিন্তু, আমাদের দণ্ডবিধিতে অত্যধিক মাত্রায় শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আমাদের দণ্ডবিধিতে কোন জায়গায় সামাজিক সেবা (Community service) কিংবা অপরাধীকে সংস্কারের কথা বলা হয়নি। ক্রিমিনলোজিতে একটা থিওরি রয়েছে সংস্কারমূলক তত্ত্ব (Reformative theory)। এই তত্ত্বের মূলভাব হলো অপরাধীকে সাজা দেওয়া নয় তাকে ভাল হয়ে সমাজে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া। কিন্ত, আমাদের ক্রিমিনোলজি বা অপরাধবিদ্যা শুধু একটি আইনের কোর্স ছাড়া কিছুই না। ব্যবহারিকভাবে এই বিষয়টির প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমরা এখনো আছি সেই পুরনো চোখের বদলে চোখ, দাতের বদলে দাত সেই থিওরিতে। গান্ধীজি বলেছিলেন, “An eye for an eye will leave the whole world blind.”
সুতরাং আমাদের দণ্ডবিধিতেও পুরনো শাস্তির পুরনো থিওরি বাদ দিয়ে আধুনিক সামাজিক সেবা (Community service) বা সংস্কারমূলক তত্ত্ব ( Reformative theory) যোগ করা উচিত। অপরাধীকে সাজা না দিয়ে তাকে সংশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্য, আমি যদি প্রকাশ্যে বলি এই কথা যে ‘অপরাধীকে সাজা নয় তাকে সংশোধনের সুযোগ দাও’ তাহলে বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমাকেই প্রকাশ্যে উত্তম-মধ্যম দিতে পারে। কারণ, আমরা খুব শাস্তি প্রিয়জাতি। তারপরেও, পরিবর্তন খুবই জরুরি এবং আনতে হবে। কিছু অপরাধের শাস্তি হিসেবে কমিউনিটি সার্ভিস কিংবা সংশোধনমূলক বিধানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
দণ্ডবিধির সংশোধন ও যুগোপযোগীর দাবি রাখে এমন ধারাগুলোর অন্যতম কয়েকটি ধারা নিয়ে নিম্নে আলকপাত করা হয়েছে-
আসা যাক ধারা ২৯৪তে। এই ধারাটি অশ্লীল কাজ এবং গান বাজনার অপরাধের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি অন্যের বিরক্তি সৃষ্টি করে কোন প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে অথবা কোন প্রকাশ্য স্থানে বা প্রকাশ্য স্থানের সন্নিকটে কোন রুপ অশ্লীল সংগীত, কথা গীত করে অথবা আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে তবে সে ব্যক্তিকে তিন মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা জরিমানা দণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। কিন্তু অত্যন্ত হাস্যকর যে দণ্ডবিধিতে অশ্লীল (Obscene) শব্দের কোন সংজ্ঞা বা ব্যাখা দেওয়া হয়নি। সুতরাং, ২৯৪ ধারার সংশোধন অত্যন্ত জরুরি।
আসা যাক ৩৭৫ ধারায় যেটি কিনা ধর্ষণের ব্যাপারে আলোকপাত করেছে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৫ নং ধারা অনুযায়ী; কোন পুরুষ অতঃপর উল্লেখিত ব্যতিক্রম ভিন্ন অপর সকল ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পাঁচটি যেকোনো অবস্থায় কোন স্ত্রীলোকের সাথে যৌন সংগম করলে সে ধর্ষণ করেছে বলে পরিগণিত হবে।
প্রথমত:- স্ত্রীলোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে। অথবা, দ্বিতীয়ত:- স্ত্রীলোকটির সম্মতি ব্যতিরেকে। অথবা, তৃতীয়ত:- স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমেই, যেক্ষেত্রে মৃত্যু বা জখমের ভয় প্রদর্শন করে স্ত্রীলোকটির সম্মতি আদায় করা হলে। অথবা চতুর্থত- স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমেই, যেক্ষেত্রে পুরুষটি জানে যে, সে স্ত্রীলোকটির স্বামী নয়, এবং পুরুষটি ইহাও জানে যে, স্ত্রীলোকটি তাকে এমন অপর একজন পুরুষ বলে ভুল করেছে, যে পুরুষটির সাথে সে আইনসম্মতভাবে বিবাহিত হয়েছে বা বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে। অথবা, পঞ্চমত:- স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমে অথবা সম্মতি ব্যতিরেকে, যদি স্ত্রীলোকটির বয়স চৌদ্দ বৎসরের কম হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, যৌনাঙ্গ অনুপ্রবেশ হলে তা যৌন সহবাস অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে এবং তা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
এখন আমার প্রশ্ন ধর্ষনের শিকার কি শুধু মেয়েরাই হবে? পুরুষ রা কিংবা তৃতীয় লিঙ্গ যারা তারাও তো ধর্ষণের শিকার হতে পারে। আমরা তো প্রায়ই পুরুষদেরকে বা ছেলেদেরকে বলাৎকারের শিকার হতে দেখি। কিন্তু এই ধারায় শুধুমাত্র স্ত্রীলোকের ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। যার ফলে কোন পুরুষ বা তৃতীয় লিঙ্গ কেউ যদি ধর্ষনের শিকার হয় তাহলে এই ধারার অধীনে কোন প্রতিকার পাবেনা। সুতরাং, এই ধারাটিতে স্ত্রীলোক শব্দের সাথে পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গ শব্দ যোগ করা খুবই জরুরি।
আসা যাক ধারা ১২৪ (ক) তে যেটি কিনা রাষ্ট্রদ্রোহিতা (Sedition) নিয়ে আলোকপাত করেছে। দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উচ্চারিত বা লিখিত কথা বা উক্তি দ্বারা, কিংবা চিহ্নাদি দ্বারা, কিংবা দৃশ্যমান প্রতীকের সাহায্যে কিংবা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশ বা আইনানুসারে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা করার চেষ্টা করে কিংবা বৈরিতা উদ্রেক করে বা করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কিংবা যেকোনো কম মেয়াদের কারাদণ্ডে যার সঙ্গে জরিমানা যুক্ত করা যাবে, কিংবা ৩ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তৎসহ তাকে জরিমানায়ও দণ্ডিত করা যাবে’। ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দমন করতে এই বিধানটি যোগ করে দণ্ডবিধিতে। কিন্ত বর্তমান সময়েও এই ধারাটি প্রচলিত রয়েছে যেটি কিনা বিবেক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে। এই বিধানটি দ্বারা আইনকে ধর্ষণ করা হলো। আপনি সরকারের কোন মন্দ কাজে সসমালোচ না করলেন বা সরকারের একটা কাজে আপনি উপদেষমূলক কিছু বললেন ব্যস আপনি হয়ে যেতে পারেন রাষ্ট্রদোহের আসামী। সুতরাং, এই ধারাটির অপপ্রয়োগের কথা চিন্তা করে এই ধারাটির পরিবর্তন খুবই আবশ্যক।
আসা যাক ধারা ৫৭তে যেখানে বলা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ৩০বছর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মেয়াদ কত বছর হবে সেটি নির্ভর করে অপরাধের প্রকৃতি এবং বিচারকের বিবেচনার উপর। এইক্ষেত্রে বিচারকের বিচক্ষণ ক্ষমতার ভিত্তিতে বিচারক সাজার মেয়াদ উল্লেখ করবেন। কিন্তু একদম ৩০বছর নির্দিষ্ট করে দেওয়ার মাধ্যমে বিচারকের হাত-পা বেধে দেওয়া হলো। বিচারকের বিচক্ষণ ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হলো। আবারো সেই ড.এস এম মাসুম বিল্লাহ স্যারের ভাষায় বলতে হয়- একজন ২০বছরের অপরাধীকে যদি আপনি ৩০বছরের সাজা দেন তাহলে যৌবনের পুরো সময়টা জেলে কেটে যাবে আবার ৫০বছরের অপরাধীকে যদি ২০বছরের সাজা দেন তাহলে ৭০বছর বয়সে একজন মানুষের জীবনের আর কি-ই বা বাকি থাকে। সুতরাং, ৫৭ ধারাতে পরিবর্তন এনে আরো উদার হওয়ার সুযোগ আছে আমাদের।
আসা যাক ধারা ২৯৯ এবং ৩০০ ধারাতে যেগুলো যথাক্রমে শাস্তিযোগ্য নরহত্যা এবং খুন নিয়ে আলোকপাত করেছে। এখানেও আইনের কিছুটা ফাক-ফোকর রয়ে গেছে। এইক্ষেত্রে খুনকে দন্ডনীয় নরহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগর য়েছে। যার ফলে যেটা হবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবেনা। সাজার পরিমাণ কমে যাবে কেননা শাস্তিযোগ্য নরহত্যা আর খুনের শাস্তিতে পার্থক্য রয়েছে।
আসা যাক, ধারা ৪৯৭তে যেখানে ব্যভিচার বিষয়টি আলোকপাত হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ‘ব্যাভিচার’ এর বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ রয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অন্যকোনো ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অপর কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তির সহিত উক্ত অপর ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ব্যাতীত এইরূপ যৌনসঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের সামিল নহে, তবে সেই ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী হবে। তাকে ৫ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডে, উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। অনুরুপক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে দণ্ডিত হবেনা।’
আইনের ওই বিধান অনুযায়ী যদি কারো স্বামী পরকীয়া করে তাহলে স্ত্রী স্বামী বা অন্য নারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না। আবার স্ত্রী যদি পরকীয়া করে তাহলে স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। তবে স্ত্রী যার সঙ্গে পরকীয়া করবে তার বিরুদ্ধে স্বামী মামলা করতে পারবে। অপরদিকে স্বামীর অনুমতি নিয়ে পরকীয়া করলে সেটা কোনো অপরাধের পর্যায়ে পড়বেনা। ফলে কোনো স্বামী-স্ত্রী যদি বিবাহ বহির্ভতূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাহলে এক্ষেত্রে একে অন্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সুযোগ এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নেই। এই ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে নারী ও পুরুষকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। যা একজন নারীর জন্য অপমানজনক। এটা সংশোধন প্রয়োজন।
সর্বশেষ যে বিষয়টি বলব সেটি হচ্ছে একদম সামান্য মাত্রার সাজার বিষয়টি। দণ্ডবিধির কিছু কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে একদম সামান্য সাজার কথা বলা হয়েছে। যেগুলোর পরিমাণ ১০০টাকা, ২০০ টাকা কিংবা ৫০০-১০০০টাকা। আজকাল একটি মাঝারী মানের বার্গার বা মাঝারী মানের একপ্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির দাম যেখানে ২০০ টাকা সেখানে এই সামান্য মাত্রার সাজা দিয়ে অপরাধ দমন করা যাবেনা। ১৮৬০ সালের ২০০ টাকা আর ২০২১ সালের ২০০ টাকার মূল্য সমান নয়। সুতরাং, এইসব সাজার পরিমাণ যুগোপযোগী করতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই উপনিবেশীয় ছায়া থেকে বের হয়ে আমাদের নতুন একটি আইনের কাঠামো তৈরী হোক। যেটি হবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশী আইনি কাঠামো থাকবেনা কোনো উপনিবেশীয় ছায়া। আর সেই শুরুটা যদি আমাদের দণ্ডবিধি দিয়েই হয় তবে মন্দ হয়না।
মো.সামিউল আলম: শিক্ষার্থী,আইন বিভাগ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
রেফারেন্স: ipleaders.in; দৈনিক ইত্তেফাক