মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আটক সু চির বিরুদ্ধে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মামলা করে মিয়ানমার পুলিশ।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওয়াকি-টকি রেডিও-সহ অবৈধ যোগাযোগের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদস্যরা।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা এবং কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র এক প্রতিবেদনে জানায়, নভেম্বরের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়েছে কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখবে বর্তমান সামরিক সরকার।