করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও তার স্ত্রী। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেন তারা।
টিকা নিতে বিকেল ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী। টিকাগ্রহণ শেষে ৩টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে আসেন তারা।
এর আগে আজ বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নিবন্ধন করা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি এখানে টিকা নিচ্ছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারটি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। ২ নম্বর বুথের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ সেবিকা আসমা আক্তার বলেন, ‘আজ বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেয়া শুরু হয়। এখানে মোট চারটি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। আমি ২ নম্বর বুথে আছি। এই বুথে এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে টিকা দিয়েছি। আমাদের বুথে ২০০ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট আছে। আমাদের মেডিকেলের চিকিৎসক, স্টাফদের যারা নিবন্ধন করেছেন তাদেরও টিকা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত আমরা টিকা দান চালিয়ে যাব। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে আবার টিকাদান শুরু করব, বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেব। এভাবে এ মাসে এখানে আমরা ১২ দিন টিকা দেব।’
এছাড়া বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের ৬ জন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ৪৮ জন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিকা গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মোট ৫৫ জন বিচারপতিবৃন্দ আজ টিকা গ্রহন করেছেন।