মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: একদম সোজাসুজি বলতে গেলে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য নয়। কেননা দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিলভুক্ত নয়।
উপরোক্ত সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য নিম্নোক্ত ৩ টি আইনের তফসিল তুলনামূলকভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আইন তিনটি হলোঃ
১। ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইন।
২। ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ এবং
৩। ২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন।
১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের তফসিল:
১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধকে স্বতন্ত্রভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই অধ্যাদেশের প্রথম ভাগের ২য় দফার বিধান অনুযায়ী দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য ছিল।
এই অধ্যাদেশের তফসিলের প্রথম ভাগের ১ম দফায়ও দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ১ম দফার বিধান সম্পূর্ণ পাঠ করলে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে এখানে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলিকে স্বতন্ত্র অপরাধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, বরং এই অপরাধগুলিকে কেবল সেকেন্ডারি অপরাধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অর্থাৎ বেআইনী সমাবেশে জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণ উদ্দেশ্য হিসাবেই কেবল ঐ অপরাধগুলিকে (দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলির স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব নেই। এখানে স্বতন্ত্র অপরাধ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
ঐ স্বতন্ত্র অপরাধ দুটির উদ্দেশ্য হিসাবে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এই ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের প্রথম ভাগের ১ম দফার সারাংশ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হবে যদি ঐ বেআইনী সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য হয় দণ্ডবিধির ৩২৩,৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করা এবং ঐ বেআইনী সমাবেশে জড়িত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ এর অধিক না হয়।
২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইনের তফসিল:
২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধকে স্বতন্ত্রভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই আইনের প্রথম ভাগের ২য় দফার বিধান অনুযায়ী দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য । এই আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ১ম দফায়ও দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ১ম দফার বিধান সম্পূর্ণ পাঠ করলে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে এখানে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলিকে স্বতন্ত্র অপরাধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, বরং এই অপরাধগুলিকে কেবল দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের উদ্দেশ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইনের প্রথম ভাগের ১ম দফায় স্বতন্ত্র অপরাধ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
এখানে “দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ ও ১৪৭” এর পর কমা ব্যবহার করে “দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ ও ১৪৭” এই শব্দাবলীকে এই দফার অন্যান্য শব্দাবলী থেকে পৃথক করা হয়নি। অর্থাৎ এখানে “দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ ও ১৪৭” ডিজজাংটিভ নয় বরং কনজাংটিভ। এই আইনের প্রথম ভাগের ১ম দফার সারাংশ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হবে যদি ঐ বেআইনী সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য হয় দণ্ডবিধির ৩২৩,৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করা এবং ঐ বেআইনী সমাবেশে জড়িত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ এর অধিক না হয়।
এখন আসি ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনে। এই আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধকে স্বতন্ত্রভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ এবং ২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধকে স্বতন্ত্রভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য এই আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ১ম দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের উল্লেখ আছে।
কিন্তু এখানে “দণ্ডবিধির ধারা ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৪৭ মোতাবেক কোন অপরাধ সংঘটন করা,” এই শব্দাবলী এই দফার অন্যান্য শব্দাবলী থেকে বিচ্ছিন্ন বা স্বতন্ত্র নয়। অর্থাৎ এখানে “দণ্ডবিধির ধারা ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৪৭ মোতাবেক কোন অপরাধ সংঘটন করা,” ডিজজাংটিভ নয় বরং কনজাংটিভ। ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ এবং ২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইনের ন্যায় এখানেও দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলিকে স্বতন্ত্র অপরাধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, বরং এই অপরাধগুলিকে কেবল দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের উদ্দেশ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইনের প্রথম ভাগের ১ম দফায় স্বতন্ত্র অপরাধ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
এই আইনের প্রথম ভাগের ১ম দফার সারাংশ হলো দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হবে যদি ঐ বেআইনী সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য হয় দণ্ডবিধির ৩২৩,৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করা এবং ঐ বেআইনী সমাবেশে জড়িত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ এর অধিক না হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ১ম দফায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে ভুল আছে। ভুলটি “বেআইনী জনসমাবেশ সাধারণ উদ্দেশ্যে হইলে” এই জায়গায়। আসলে এই বাক্যাংশটি এরূপ হওয়া উচিত ছিলঃ “বেআইনী জনসমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্যে হইলে”।
অর্থাৎ “জনসমাবেশ”শব্দের পরিবর্তে “জনসমাবেশের” শব্দটি ব্যবহার করা হলে বাক্যটি সঠিক হতো। এখানে উল্লেখ্য যে সাধারণ উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন জনসমাবেশই বেআইনী জনসমাবেশ হতে পারে না। সুতরাং সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে, ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ১ম দফায় “বেআইনী জনসমাবেশ সাধারণ উদ্দেশ্যে হইলে” এই শব্দাংশটি লিখন ভুল হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই মনে করতে পারেন ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলি ভ্রমাত্মকভাবে বাদ পড়েছে। যদি তাদের কথা সঠিক হয় তাহলেও ঐ ভুল সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এটিকে ভুল বলতে পারি না । অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান আইনের মধ্যে থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। বিদ্যমান আইনকে ভুল বলে আইনের প্রয়োগ ও পরিসর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
আমার মনে হয়ে আইনপ্রণেতাগণ ইচ্ছাকৃতভাবেই দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলিকে ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিল থেকে বাদ দিয়েছে, যদিও ২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইনের তফসিলের প্রথম ভাগের ২য় দফায় ঐ ধারাগুলি অন্তর্ভুক্ত আছে। আমার কাছে মনে হয় আইনপ্রণেতাগণ হয়ত ভেবেছেন শহরের চেয়ে গ্রামে ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সংঘটিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ঐ অপরাধগুলির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। সুতরাং আইনপ্রণেতাগণ মনে করে থাকতে পারেন যে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪২৬ ও ৪৪৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধগুলিকে ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের তফসিলভুক্ত করা হলে গ্রামে অপরাধ নির্মূল বা প্রতিরোধ কোনটাই করা সম্ভব হবে না।
সবেশেষে বলতে চাই একজন মানুষের কাছে নিজের দেহের চেয়ে প্রিয় আর কি থাকতে পারে। কোন একজন নামীদামী ব্যক্তি (সে যে পদমর্যাদারই হোক না কেন) যদি দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের শিকার হন, তবে তিনি প্রতিকার হিসাবে পাবেন সামান্য কয়েক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ। এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে। আমি মনে করি দেহের উপর সকল আঘাতই অবিলম্বে জামিনঅযোগ্য করে আইন সংশোধন করা উচিত এবং ২০০৪ সালের বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন থেকে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারা বাদ দেওয়া উচিত।
শেষ করতে চাই এই বলে যে, উপরোক্ত তিনটি আইন মিলিয়ে পড়লে বিতর্ক করার আর কোন অবকাশ থাকবে না যে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য নয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে আরো বলতে চাই অনেকেই মনে করেন ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের ৩ ধারার বিধান বলে ঐ আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত সকল অপরাধই নিরঙ্কুশভাবে গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য। কিন্তু তাদের এই ধারণা সঠিক নয়। কেননা ঐ আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে “অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান না থাকিলে,”তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারী মামলা গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হইবে এবং কোন ফৌজদারী আদালতের অনুরূপ কোন মামলার বিচার করিবার এখতিয়ার থাকিবে না ৷ লক্ষ্য করলে দেখা যায় ঐ আইনের ৩ ধারাতেই একাধিক ভিন্ন রকম বিধান রয়েছে। যেমন “তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন ফৌজদারী মামলা গ্রাম আদালতে কর্তৃক বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পূর্বে কোন সময়ে গ্রাম আদালত বা আমলযোগ্য অপরাধে অন্য কোন আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন।” একইভাবে ঐ আইনের ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ ধারাও “অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান” এর অন্তর্ভুক্ত । অর্থাৎ ঐ আইনের ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ ধারার ক্ষেত্রে ৩ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।
২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইনের ১৭ধারায় বলা হয়েছে “এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মামলার বিষয়বস্তু তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণে পুলিশ সংশিষ্ট আমলযোগ্য মামলার তদন্ত বন্ধ করিবে না; তবে যদি কোন ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোন মামলা আনীত হয় তাহা হইলে, উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে, মামলাটি এই আইনের বিধান মোতাবেক গঠিত কোন গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে। ”এখান থেকে দেখা যাচ্ছে কোন আমলযোগ্য মামলায় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ থাকলে আদালত নিজেই ঐ মামলার বিচার করবে। তবে আদালত উপযুক্ত মনে করিলে ঐ মামলাটি কোন গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে।
এখানে আদালত কর্তৃক ঐ মামলার বিচার করা বাধ্যতামূলক (ম্যান্ডেটরি)। পক্ষান্তরে মামলাটি বিচারের জন্য গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি হচ্ছে নির্দেশাত্মক (ডিরেক্টরি)। অর্থাৎ আদালত চাইলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি নিজেও বিচার করতে পারে আবার উপযুক্ত মনে মামলাটি বিচারের জন্য গ্রাম আদালতে পাঠাতে পারে।
লেখক: সিনিয়র সহকারী জজ, রাজশাহী।