চীনা আদালতের এই রায়ের ফলে একজন নারী তার পাঁচ বছরের বৈবাহিক জীবনে গৃহস্থালির কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ হাজার ইউয়ান পাবেন। যা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ৬ লাখ টাকারও বেশি।
বৈবাহিক জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের কাজ করেন স্ত্রী। কিন্তু এরজন্য এতদিন পারিশ্রমিক হিসেবে কোনো টাকা পেতেন না তারা। কিন্তু এখন থেকে গৃহস্থালির কাজের জন্য স্ত্রীকে অর্থ দিতে হবে। চীনের বেইজিংয়ের একটি আদালত এমনই রায় দিয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেইজিংয়ের আদালতের এই রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা আদালতের এই রায়ের ফলে একজন নারী তার পাঁচ বছরের বৈবাহিক জীবনে গৃহস্থালির কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ হাজার ইউয়ান পাবেন। যা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ৬ লাখ টাকারও বেশি।
আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, চেন নামের এক ব্যক্তি ওয়াং নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু গত বছর বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন চেন। ওয়াং বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না। কিন্ত পরে চেনের বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মামলা করেন ওয়াং। তার দাবি, বৈবাহিক জীবনে ঘরের কোনো কাজই করেননি চেন। এমনকি সন্তানদের দেখভালও করেননি তিনি।
দীর্ঘ শুনানির পর রায়ে বেইজিংয়ের ফাংশান জেলা আদালত চেনের প্রতি ৫০ হাজার ডলার ওয়াংকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মাসিক খোরপোষ বাবদ প্রতিমাসে আরও দুই হাজার ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালত বলছে, বিবাহবিচ্ছেদের পর সাধারণত দুজনের যৌথ পরিমাপযোগ্য সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়। কিন্তু গৃহকর্ম অপরিমাপ্য সম্পত্তি, কিন্তু তারও মূল্য রয়েছে।
তবে রায় নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো সরগরম হয়ে উঠেছে, চলছে তর্ক-বিতর্ক। অনেক ব্যবহারকারী বলছেন, পাঁচ বছরের গৃহকর্মের জন্য ৫০ হাজার ইউয়ান খুবই কম মজুরি। কারণ একজন আয়াকেও পাঁচ বছরে এর চেয়ে অনেক বেশি মজুরি দেওয়া হয়।