মাদক আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১ মার্চ) ঢাকার মহানগর অষ্টম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন র্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
একই আদালত ১২ জানুয়ারি আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। সেদিনই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশ ত্যাগের সময় শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চারজনকে আটক করে র্যাব-১। পরদিন দুপুরে র্যাব ফার্মগেটের ২৮ ইন্দিরা রোড ঠিকানায় পাপিয়া-মফিজুরের বাসায় অভিযান শুরু করে। ওই বাসা থেকে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক বই, কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া লাইসেন্সবিহীন একটি বিদেশি পিস্তলও পাওয়া যায় বাসায়। সঙ্গে পাওয়া যায় দু’টি ম্যাগজিন ও ২০ রাউন্ড গুলি। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে গত বছর ১২ অক্টোবর মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির ২৭ বছর কারাদণ্ড হয়।
গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।