চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপম কান্তি নাথ নামে এক বন্দিকে বৈদ্যুতিক শক এবং বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগে জেল সুপার ও জেলারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ।
সোমবার (১ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে আদালত মামলাটির বিষয়ে আদেশ না দিয়ে অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে মঙ্গলবার (২ মার্চ) মামলাটি উচ্চ আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত আমাদের মামলা গ্রহণ করে সিআর নম্বর প্রদান করেন। একইসঙ্গে মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০১ ধারা মোতাবেক উপযুক্ত আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আমরা মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।’
এর আগে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ঝর্ণা রানী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি রতন ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কারাগারে যান রূপম কান্তি দেবনাথ। চলতি বছরের ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রূপমকে (বাদীর স্বামী) অন্যায়ভাবে বিচারাধীন মামলায় জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এবং স্থায়ীভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন করার জন্য শারীরিক নির্যাতন, বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য পুশ ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করেন।’
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘নির্যাতনের খবর পেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বন্দি রূপম কান্তি নাথের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত আবেদনটি মঞ্জুরও করেন। আসামিরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে রূপমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালটির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।’
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার মৌলবীর দোকান এলাকার রতন ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলার ও জেলখানায় কর্তব্যরত সহকারী সার্জনকে। এছাড়া মামলায় আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে।