ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ আটজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেয়া অপর আসামিরা হলেন খালেক টিপু, রাসেল, দিল গনি, শহিদুল ইসলাম, মোশাররফ, আবুল কাশেম ও ওয়াহিদ।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৫ মার্চ মজনুসহ আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে গত ১ মার্চ এ মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আসামিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভকারীরা বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানো ও রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে।
এ সময় তারা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেন। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উভয় গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় গত রোববার শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক পলাশ শাহা বাদী হয়ে ৪৮ আসামির নাম উল্লেখসহ ২০০/২৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।