হাইকোর্টের নির্দেশে দেশ থেকে অর্থপাচারকালীন ২০০৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত ৩৫৪ জন কর্মকর্তার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তালিকা আদালতে জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড মার্কেটস-এর ১২৯ জন, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্টের ৫০ জন, ইন্টারনাল অডিট ডিপার্টমেন্টের ১৭৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
আদালতে এসব কর্মকর্তাদের যেসব তথ্য জমা দেয়া হয়েছে- ন্যাশনাল আইডি, চাকরিতে যোগদানের তারিখ, অবসরে যাওয়ার তারিখ, পদবি, কত দিন কাজ করছেন (কর্মকাল), বর্তমানে কোনো পদ-পদবি আছে কি-না, বদলি হলে সেই বদলির তারিখ, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সোমবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ তালিকা দাখিল করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পি কে হালদার পালানোর সময় বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত ৫৯ পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের তালিকা হাইকোর্টে জমা দেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দীন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।
আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ আজিজ।