সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় আকামত আলী (৬০) নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তাঁকে গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি দিরাই উপজেলার অন্তর্গত নাসনি গ্রামের বাসিন্দা।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক আকামত আলীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনায় ৩৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
১৭ মার্চ সকালে ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে পাশের চার গ্রামের মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শাল্লা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বাদী হয়ে করা মামলায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অন্য মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদারের করা ।