ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ৪৮ আসামি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় আসামিরা জগন্নাথপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ মার্চ থানার এসআই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ঐয়ারকোণা গ্রামের মৃত ইছকন্দর আলীর ছেলে ও ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি আব্দুল হাশিমকে (৪৫) অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিয়ে থানায় আসার সময় আসামির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আব্দুল হাশিমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে তারা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় হামলার শিকার থানার এস আই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ মার্চ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি আব্দুল হাশিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গবার ৪৮ আসামি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে হামলার ঘটনার পরদিন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে স্থানীয় শান্তিবাজারে অপরাধ দমনে এক সভা করেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এলাকাবাসী আসামিদের ধরিয়ে দিতে আশ্বাস দেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিরা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ এসল্ট মামলায় প্রথমে ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানানো হলেও মঙ্গলবার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলার এজাহারে ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার আর কোনো আসামি নেই। সব আসামিকে গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার ৪৮ জন আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : সমকাল