সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে ও ভাতিজার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল জলিলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন থানা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আজগর আলী। এ সময় চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যায় প্রধান দুই
অভিযুক্ত হলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে মিঠু বিশ্বাস ও ভাতিজা নান্নু বিশ্বাস। মিঠু বিশ্বাস পাশের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আর নান্নু বিশ্বাস স্থানীয় ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এনায়েতপুর বেতিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সম্মেলনের ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনার শেষ পর্যায়ে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে মিঠু বিশ্বাস ও ভাতিজা নান্নু বিশ্বাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জলিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মিঠু বিশ্বাস বলেন, ওই দিন চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে পুরো সময় তিনি সাংসদ আবদুল মোমিন ও সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাইরের কোনো ঘটনা তাঁর জানা নেই।
এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, এই হত্যার ঘটনা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। স্থানীয় একটি মহল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সম্মেলনের সময় আমি ও সাংসদ আবদুল মোমিন পাশাপাশি বসে ছিলাম।’
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল জলিলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র : প্রথম আলো