যৌন নির্যাতনের শিকার জীবিত বা মৃত নারীর ছবি, নাম, পরিচয়, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ অন্যান্য পরিচয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে তথ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের(বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৮ মার্চ এ আদেশ দেন। বৃহষ্পতিবার এর লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। আদেশে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে। রুলে যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ছবি-পরিচয় প্রকাশ বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। ধর্ষণের শিকার জীবিত বা মৃত নারীর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। হরহামেশাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। এ ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট আবেদন করা হয়।
এর আগে আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর ছবি ও পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
সূত্র : কালের কণ্ঠ