উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তা না হলে জনগণের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত দুই দিন ধরে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেলস্টেশন ও রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িঘর, মানবসম্পদের ক্ষতি করেছে। এই জাতীয় ক্ষয়সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধের জন্য আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তা না হলে জনগণের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, সরকার উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে, একটি মহল এতিম ছাত্র ও শিশুদের রাস্তায় নামিয়ে সরকারি সম্পদ ধ্বংসসহ নানা ধরনের অপকর্ম করছে। প্রাণহানি ঘটাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, আইন অমান্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া নাশকতামূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ।
ঢাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে গুলিতে চারজন নিহত হন। এর প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করেন। সেখানে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। হেফাজতে ইসলামের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি স্থানে সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হন। ‘প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর হামলা ও হত্যার’ প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। এই হরতাল ঘিরেও সহিংসতা হয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো