সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়সহ দুজনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, হাজারীবাগ থানার মামলায় বিএনপি নেতা নিপুণ রায় ও আরমান হোসেনকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা নিপুণ রায়কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের শুনানি নিয়ে প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। নিপুণ রায়ের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপি নেতা আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিপুণ রায়কে ঢাকার রায়ের বাজার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর আরমানকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে নিপুণ রায় ও আরমান হোসেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ।
মামলায় নিপুণ রায়ের বিরুদ্ধে মুঠোফোনের মাধ্যমে আরমান হোসেনকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিপুণ রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ।