আশুলিয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইফুল রহমান তালুকদার (১৮)। সে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার উত্তর কদমতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসা প্রিন্সিপালসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত মাদরাসা অধ্যক্ষের নাম হাফেজ মাওলানা আকরাম হোসেন ও তার ভাই শিক্ষক আব্দুর রহমান নবী। তারা ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পশ্চিম শালকোণা গ্রামের জনব আলীর ছেলে।
শিক্ষার্থী সাইফুল রহমান তালুকদারের পিতা খলিলুর রহমান বলেন, আমি খুলনায় গ্রামের বাড়িতে থাকি। সোমবার বিকেলে মাদ্রাসায় সাইফুলকে মারধর করেন প্রিন্সিপাল আকরাম হোসেন ও অপর এক শিক্ষক। মারধরের পরে সাইফুল মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে এক ভ্যানচালক আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার ছেলে সাইফুলকে মাদ্রাসার শিক্ষকরা মারধর করেছে এবং সে রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসে কান্নাকাটি করছে। তখন ওই ভ্যানচালক আমার ছেলেকে নবীনগরে তার মামার বাসায় দিয়ে আসে। পরে আমি এসে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এবং অপর এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালসহ মাদ্রাসার আরেক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন