করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সব অধস্তন আদালত খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা। সোমবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে এ আল্টিমেটাম দেন।
এসময় সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে আইনজীবীরা লকডাউনের মধ্যেও সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়ালি বেঞ্চ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং অধস্তন সব আদালত খুলে দেওয়ার দাবি জানান। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথাও বলা হয়।
অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি লকডাউনের সময় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য চারটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ গঠন করেছেন। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কয়েকশ আইনজীবী অতি দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই, ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ পরিচালনায় সক্ষম। কিন্তু এবার লকডাউনে কেন শুধু চারটি বেঞ্চ গঠন করা হলো তা আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীরা প্রধান বিচারপতির কাছে জানতে চায়। কেন অধস্তন আদালতে একটি মাত্র কোর্ট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ রাখা হলো তা ষাট হাজার আইনজীবী জানতে চান।’
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লকডাউনের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ এবং সব নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছি। লকডাউন শেষ হলে আগের মতো নিয়মিতভাবে এবং ভার্চুয়ালি আদালত খুলে দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করছি। কিন্তু আমাদের এসব দাবি মানা না হলে আমরা আগামীকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। রবিবার (৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় লকডাউন চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দু’দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতসমূহের মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালিত হবে।