বিজ্ঞাপনে বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের অংশ না নেওয়াসহ একগুচ্ছ বিধিনিষেধ রেখে খাদ্যপণ্যের প্রচারে নতুন বিধান হচ্ছে।
ভাষাসহ সাধারণ কিছু বিষয় ছাড়াও শিশুখাদ্য, পানীয় এবং শিশুদের নিয়ে ও তাদের লক্ষ্য করে প্রচারিত খাদ্যদ্রব্যের বিজ্ঞাপন তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে খসড়া প্রবিধানমালায় আরও কিছু শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
‘নিরাপদ খাদ্য (বিজ্ঞাপন) প্রবিধানমালা ২০২১’ এর এসব শর্ত অমান্য করলে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর ৪১ ও ৪২ ধারা লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে এবং সে অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে।
৪১ ও ৪২ ধারা লঙ্ঘনে ছয় মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধে কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ড বা চার লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইনের আলোকে ইতোমধ্যে এ প্রবিধানমালার খসড়া মতামতের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রবিধানমালা প্রণয়নের কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “অংশীজনদের মতামত পাওয়ার পর প্রবিধানমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে ভেটিং শেষে গেজেটের মাধ্যমে তা কার্যকরের দিকে যাবে।”
“করোনার কারণে হয়তো একটু দেরি হয়ে যাবে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে তা নিয়ে ফের কাজ শুরু হবে,” বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় বিজ্ঞাপনের সাধারণ শর্তের মধ্যে রয়েছে, এর ভাষা, দৃশ্য, চিত্র, কিংবা নির্দেশনা ধর্মীয় অনুভূতি, সাম্প্রদায়িক চেতনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং রাজনৈতিক অনুভূতির প্রতি পীড়াদায়ক হতে পারবেনা।
একই সঙ্গে প্রতিযোগী পণ্যের তুলনা বা নিন্দা করে শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা যাবেনা। এমন কোনো বর্ণনা বা দাবি প্রচার করা যাবেনা যাতে জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতারিত হতে পারে।