অননুমোদিত মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানি, করোনার মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বসিয়ে বাজারজাতকরণের অভিযোগে গ্রেফতার নয়জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা, ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম, মো. মাহমুদুল হাসান, এক্সন টেকনোলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি এস এম মোস্তফা কামাল, হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের এমডি আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউর রহমান, অফিস সহকারী মো. সুমন, হিসাবরক্ষক জাহিদুল আমিন পুলক, অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার মো. সোহেল রানা
এদিন দুপুরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
গত ১৬ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ১৫ এপ্রিল বিকেলে র্যাব-২ এর একটি দল মোহাম্মদপুর থানার লালমাটিয়ায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল, বনানী এলাকায় এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড, হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় অভিযান চালায়।
এ সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে ছাপিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া করোনার টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে। ওয়্যারহাউজে মজুদ করা বেশির ভাগ মেডিক্যাল ডিভাইস অননুমোদিত এবং প্রায় সব ধরনের টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কিট ও টেস্টিং ডিভাইসসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পরে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।