সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলমকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা জহিরুল ইসলাম খান পান্না।
১৯ মে (বুধবার) অ্যাডভোকেট জাহিরুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেইসবুকের মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম একজন জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা বলে তাকে ৬ বার সাধারণ সম্পাদক ও ৭ বার সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এমন একজন জনপ্রিয় আইনজীবী নেতাকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি একজন সনদবিহীন আইনজীবী। এই ঘটনার মূলে গিয়ে জানা যায়, বার কাউন্সিলের সনদছাড়া নামধারী আইনজীবী বা ঐ দালালকে টাউট হিসাবে চিহ্নিত করে ফেইসবুকে ছবি প্রচার থেকে উক্ত ঘটনার উৎপত্তি হয়।
এই সময়ে তিনি আরও বলেন, পুলিশি হাতকড়া তাকেই দেওয়া উচিত যার পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু অ্যাডভোকেট শাহ আলমের সে সম্ভাবনা না থাকার পরও লকডাউনের এই ভয়াল দুঃসময়ে গ্রেফতার করে হাতে হাতকড়া পরিয়ে অসম্মানজনকভাবে আদালতে তোলার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং সে সাথে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সাতক্ষীরা বারের সাবেক সভাপতির গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বাংলাদেশের সকল আইনজীবীদের প্রতি অবমাননাকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাহ আলমের বিরুদ্ধে করা এই মিথ্যা মামলা ও তাকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে টাউটদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের আগে তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল যিনি অভিযোগটি এনেছেন তিনি কি প্রকৃত পক্ষে একজন আইনজীবী নাকি টাউট?’
এই সময়ে অ্যাডভোকেট জাহিরুল ইসলাম সকল আইনজীবী ও আইনজীবী সমিতির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরবর্তীতে বার কাউন্সিল সনদছাড়া কোন টাউট যদি ধরা পড়ে তবে কোন প্রকার মানবতা না দেখিয়ে টাউটদের প্রথমাবস্থায় থানায় হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে তাতে করে শাহ আলমের মতো ঘটনার শিকার কাউকে হতে হবে না সেই সাথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলোতে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতীত তদন্তের আগে গ্রেফতার না করা এবং গ্রেপ্তারকৃত আইনজীবী নেতা শাহ আলমের মুক্তির দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের সকল আইনজীবী সমিতির সামনে বেলা ১০-১১ ঘটিকার পর্যন্ত মানববন্ধনের আয়োজন করার জন্য আইনজীবী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।