বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তিকরণে আইন শিক্ষানবিশদের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী ২৯ মে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
২৫ মে (মঙ্গলবার) তিনি বলেন, ‘ফল প্রকাশ নিয়ে অ্যানরোলমেন্ট কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আগামী ২৯ মে(শনিবার) ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ওইদিন ফল ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এবং পরে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নয়টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্ন জটিল এবং করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ করে অনেক পরীক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন ৫টা কেন্দ্রে হাঙ্গামার পর সেই কেন্দ্রগুলোর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও ফেল করলে তাদের আবার শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশীর এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
বার কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। ফলে করোনার সংক্রমণের মধ্যে আগের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল।