বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের আইগত সহায়তা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
শনিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল আমার সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে উচ্চ আদালতে পরিচালনা করেছেন। সেই মামলায় বিশাল ডকুমেন্টে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা হলো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা একটা বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করতে চাই। যেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা যাবতীয় বই সংরক্ষণ করা হবে। এ মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পক্ষ থেকে পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবো আমরা। এক্ষেত্রে আমাদের যতটুকু ভূমিকা রাখা যায়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
আলোচনা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকলের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মেহেদী হাসান চৌধুরী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মো. বশির উল্লাহ, একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, আনোয়ারা শাহজাহান, জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা, মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পি, মো. তাহেরুল ইসলাম, এস এম ফজলুল হক, বি এম আবদুর রাফেল, শাহ মো আশরাফুল হক জজ, কে এম মাসুদ রুমি, বিপুল বাগমার, আমিনুল ইসলাম, আবুল হাশেম, জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পি, সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতু, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ, তামান্না ফেরদৌস, মো. মাহফুজুর রহমান লিখন, বিনয় কুমার ঘোষ, সাহাব উদ্দিন আহমেদ টিপু, নাসিম ইসলাম, মিজানুর রহমান, রেহেনা সুলতানা, শামীম খান, শ্রী প্রহল্লাদ দেবনাথ, মাহফুজা বেগম সাঈদা, তৌফিক সাজাওয়ার পার্থ, শাহ নেওয়াজ, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া, ব্যারিস্টার মো. হাফিজুর রহমান, কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন, মো. সাইফুর রহমান সাইফ, মো. মজিবুর রহমান মুজিবসহ দুই শতাধিক রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এসময় ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলগণ জাতির পিতার যে সকল খুনি পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে আর যেন এমন নারকীয় হামলা সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে অ্যাটর্নি কার্যালয় তৎপরতা চালাতে পারে বলেও মতামত দেন তারা।