অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী শাখার ১০ম শ্রেণির ছাত্র বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলো কিনা, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীরা করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সেসঙ্গে রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের ‘নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ‘বুলিংরোধে নীতিমালা’ তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, আইন সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ৮ জুলাই বিবিসি বাংলায় ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে এ রিট করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছেন, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিয়িংয়ের শিকার হবার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে।