যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে সহকারী জজ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
(১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী মামলার এজাহার গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। মঙ্গলবার সেই এজাহার গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শক মাহফুজুল হক ভূঁইয়াকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
শাহবাগ থানার (নারী ও শিশু নির্যাতন) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মকবুলুর রহমান এই তথ্য জানান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৭ জুন নজরুল ইসলাম এবং কানিজ ফাতেমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর নজরুল ইসলামের আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে। একপর্যায়ে বিবাদী বিভিন্ন দাবি দাওয়া করে কানিজ ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। জমি কেনার জন্য যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করেন।
বিবাদী বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে একজন বিচারক হওয়ায় দাপ্তরিক কাজের জন্য গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ডরমেটরিতে অবস্থানকালে পূর্বের মতো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কানিজ ফাতেমা যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে নজরুল ইসলাম তাকে মারধর করেন। টাকা না দিলে তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ের হুমকি দেন নজরুল ইসলাম।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি তার বড় ভাই রিয়াজ রহমানকে জানান। রিয়াজ পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার থেকে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩১ আগস্ট তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।