ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুতে একশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ রুল জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম আবদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটে ৫০ কোটি টাকা কলেজটির জন্য এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা আবরারের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এস এম আব্দুর রউফ জানান, ওই ঘটনায় কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোর সঙ্গে অনুষ্ঠানের যে চুক্তি করে তাতে কার কী দায়দায়িত্ব তা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার দায়িত্ব ছিল প্রথম আলোর আয়োজকদের। এ কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ৫০ কোটি এবং আবরারের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা দিতে রিট করা হয়েছিল।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ একশ কোটি টাকা চেয়ে রিট করে। গত জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষর করা এ রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়। আদালত তখন বলেন, শুধুই কলেজ নয়, ভিকটিমের (নিহত আবরার) পরিবারকে আদালতে আসতে হবে।
এরপর আবরারের পরিবারকে রিটে সম্পৃক্ত করা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট একশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর প্রথম আলোর সাময়িকী ‘কিশোর আলো’র উদ্যোগে এক অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে আবরার রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এ ঘটনার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ওই বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
এই মামলায় গত বছর ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালত প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। আর অন্যরা নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান।